সুকল্প কিছু বলতে গিয়ে থামে। বাবুন বলেই চলেছে, মায়ের ডান চোখে ছানি পড়েছে। বাবা বিছানায়। আমায় রিস্কটা নিতেই হবে। উপায় নাই। চার দিন হল দিল্লি থেকে টানা হাঁটছি। আর পারছি না বন্ধু।
শুভ্রদীপ চৌধুরী
দরজার কড়া নাড়ার সময় বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল সুকল্পর।
সে এই গ্রামটির খোঁজ পেয়েছে দিন দুয়েক আগে। শুধু গ্রামের নামে মিল আছে এমন নয়! বাবুন নামের তিনজন মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে।
এক নম্বর বাবুন ক্লাস এইটে পড়ত। ইদানীং গঞ্জের মোড়ে চায়ের দোকানে কাজে লেগেছে। সুকল্প সামনাসামনি গিয়ে দেখে এসেছে। সেই বাবুন এঁটো কাচের গ্লাস মাজতে মাজতে বলেছে, আমার কাছে কেউ কখনও জানবার চায়নি কেমন আছি। জানবার যখন চাচ্ছেন তাই কচ্ছি, ফাস কেলাস আছি। দু’বেলা ভাত দেয়, মাসে ছয়শো দিবে। কিছুদিন গেলে বাড়বে। মালিক খুব ভালমানুষ।
দু’নম্বর বাবুন এমএ পাশ। দু’বেলা টিউশন করে। মাস তিনেক হল টিউশন বন্ধ। এখন এক নম্বর বাবুন দাস যে চায়ের দোকানে কাজ করে সেখানে সারাদিন আড্ডা দেয়।
তিন নম্বর বাবুন দিল্লি, চেন্নাই কিংবা পুণেতে কাজ করে। বছরখানেক আগে এক বার গ্রামে এসেছিল। তার পর আর আসেনি।