কাঠের টুলটার ওপরে কিছুক্ষণ ভুরু কুঁচকে বসে রইল মন্মথ। ভেবে দেখার চেষ্টা করল, বাচ্চুর ওপরে তার ঘেন্না হচ্ছে কিনা। কিন্তু না, ঘেন্না খুঁজে পেল না সে। রাস্তার উল্টোদিকের গাছটার দিকে তাকিয়ে মন্মথ আপনমনে বিড়বিড় করল, বাঁচতে হবে না? মরে গেলেই চলবে?
সৈকত মুখোপাধ্যায়
মন্মথ সাহা তার দোকানের ভেতরে বসে বাইরে রাস্তার দিকে তাকিয়েছিল। প্রায়ই এইভাবে তাকিয়ে থাকে। খুব যে একটা কিছু খেয়াল করে দেখে তা নয়। তবে সেদিন রাস্তার উল্টোদিকের কাপাশ গাছটা দেখে মন্মথ বেশ চমকাল। সে দেখল, রাতারাতিই গাছটার পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে। সবজেটে গুঁড়িটার গায়ে ফাঙ্গাসের ছোপ।
নর্দমার ধারে বছর দুয়েক আগে এমনিই গজিয়েছিল গাছটা। বড় হলে দোকানের সামনেটায় একটু ছায়া হত কিন্তু বড় হবে না।
মন্মথ নিজের মনে বিড়বিড় করে বলল, এবার মরে যাবে গাছটা।
বলেই ভাবল, মরে যাবে বলা ঠিক হল না, বলা উচিত ছিল মেরে ফেলবে। একটা রোগা-গাছের গায়ে অত বড় বড় পেরেক ঠুকলে সে গাছ বাঁচে? মন্মথ চশমার মোটা কাচদুটোকে ফতুয়ার খুঁট দিয়ে একটু মুছে নিয়ে আবার চোখে লাগাল। তারপর মন দিয়ে গাছের গুঁড়ির গায়ে লটকানো বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে শুরু করল।
দেখতেই পারে। মুদিখানাটা আজকাল একদমই চলে না; মন্মথর হাতে তাই অনেক সময়।
ভাল লাগল
জীবন কত কিছুই না শিখিয়ে দেয়।
আহা! খুব ভালো লাগলো।
‘কিসসাওয়ালা’ আপনার গল্পের আসরে অনাহুত হয়েও যেন জায়গা পাই, এই পরিভ্রমণ যেন অনাদি-অনন্তকে ছুঁয়ে সাহিত্যের চিরকালীন সম্পদ হয়ে থাকে।
আপনার গল্প আমার বরাবরই ভালো লাগে। এই গল্পটিও অনবদ্য। মানুষের কত রকমই যে ক্ষুধা থাকে! গল্পটা শেষ করে চুপচাপ বসেছিলাম অনেকক্ষণ।
ভালো লাগলো।
শেষটা অতি চমৎকার। একেবারে “শেষ হইয়াও হইল না শেষ!”
মন্মথ’র মতো বন্ধু পেলে মানবজীবন ধন্য হয়ে যায় । খুব ভালো লিখেছেন । আপনার আরও গল্প পড়ার আশায় রইলাম ।
আপনার কলমের যাদুতে এমন একটি দৈনন্দিন গল্পও কেমন যেন মায়াবী হয়ে উঠেছে। গ্খলল্পের ভাষা এবং অনন্যসাধারণ উপমায় গল্পটি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।