একটা ছোট্ট পাহাড়ি নদী ছিল। স্রোত তেমন নেই। স্বচ্ছ জল। তলায় রঙিন পাথর। গোল গোল। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে মাছেরা খেলা করত। পায়ে হেঁটে অনায়াসে পেরোনো যেত সেই নদী। নদীর মাঝবরাবর এক মাঝারি পাথরখণ্ড। বরফের মতো ঠান্ডা জলে পা ডুবিয়ে দিয়ে ওই পাথরে বসে থাকতাম আমি। সূর্যের আলো পড়ে ঝিকমিক করত নদীর বুক। নদীটা তুই আমাকে খুঁজে দিবি বুড়ো?
রম্যাণী গোস্বামী
এইখানে… এই জায়গাতেই আমরা পিকনিক করতাম!
মা হাত বাড়িয়ে ডানদিকের ওই বিস্তীর্ণ ঢালু জমিটা দেখাল আঙুলের ইশারায়। পুপুল আর তৃষা গাড়ি থেকে বাইরে পা দিয়েই রাস্তার ধারের জঙ্গল এক্সপ্লোর করতে ব্যস্ত। শীতের ঝরাপাতায় ঢেকে রয়েছে বনতল। হাওয়ায় উড়ছে শুকনো পাতাগুলো। খসখস শব্দ উঠছে। তৃষার গলায় ঝুলছে ব্র্যান্ড নিউ ডিএসএলআর। চোখের সামনে যা পাচ্ছে তা-ই তুলে চলেছে ও পাগলের মতো। পুপুল একটা গাছের সরু ডাল কুড়িয়ে পেয়েছে কোথা থেকে। সপাৎ সপাৎ করে তা দিয়ে অকারণে আঘাত করছে খুদে গাছগুলোর নরম কাণ্ডে আর বিরাট শাল গাছের মসৃণ গুঁড়িতে। মায়ের কথায় দু’জনের কেউই ফিরে তাকাল না এদিকে। যেন শুনতেই পায়নি এমন একটা ভাব। আমি একটুখানি সরে এলাম মায়ের কাছে। গলায় আগ্রহ ফুটিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে আসতে? এই এত দূরে?
দূর আবার কী রে? হাওয়ার দমকে মায়ের চোখের সামনে এসে পড়ল অবাধ্য চুলের গোছা। সেগুলো হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দিতে দিতে বলল মা, একটুখানি শহর ছাড়ালেই তো পাহাড়, জঙ্গল আর সবুজ চা-বাগানের ঢল নেমেছে।
হারিয়ে যাওয়া নদীটি মন ছুঁয়ে গেল।
অনেক ধন্যবাদ জানাই।
মনটা ভরে গেল…
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু 😊
দারুণ। এ নদী হারায় না।
অনেক ধন্যবাদ। প্রাণিত হলাম।
“যে নদী মরুপথে
হারালো ধারা
জানি হে জানি তাও
হয়নি হারা । ”
আপনার লেখা প্রথম পড়লাম । এরপরে খুঁজে পেতে পড়তে হবে মনে হয় । সুপ্রভাত ।
অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
শুভ সকাল।
খুব ভালো লাগল। অনেক দূরে থাকা মায়ের কথা মনে পড়ল। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিচিহ্ন গুলো আমরা খুঁজতেই থাকি। খুঁজব। হারিয়ে যাওয়া নদী কিম্বা মনের ভেতর লালন করা কল্প নদী।
প্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। ঠিকই বলেছেন আপনি। নিরন্তর এই খুঁজে চলার আরেকটি নাম হয়তো জীবন।