হৃদয়-আখ্যান
ক্রমশ ঘনায় মৃত্যুর নিঃশব্দ ছায়া, তার নীচে
বেড়ে উঠছে অশোভন হৃদয়-আখ্যান।
হৃদয়কথায় আমি মৃত্যুকে অগ্রাহ্য করে যাই
শুয়েছি মায়ায়, হৃদয়চিহ্নের মতো তার রং
খোলা আকাশের নীচে,
যেখানে অজস্র সূর্য
জন্ম নেয়
রাত্রি দেখবে বলে।
নক্ষত্রখচিত রাত আমার নির্মাণ
আমি তার
প্রতি ভাঁজে
নৈঃশব্দ্যের ঝরাপাতা মেলি
সেখানেই কুঁড়ি ধরে
ফুল ফোটে
সৌন্দর্য ব্যাখ্যান করে
গান গায় প্রেমিক-প্রেমিকা।
ছায়ার ভিতরে আমি তোমার হৃদয়গন্ধে নামি
যতদূর তুমি যাবে, ততদূর তোমার আখ্যান
ততদূর ছায়া থেকে
মৃত্যু থেকে
হেঁটে যাব দূরে।
দেহ-পদাবলি
হাওয়ায় আমিষ গন্ধ, চোরাটানে তার মেলে ধরি
গোপন আকাঙ্ক্ষা আর ভালবাসা যত, সর্বোপরি
দেহভাণ্ড, মৌমাছি পিঁপড়েদের তামাসা জমায়
সঙ্গম ইচ্ছারা জাগে, জিহ্বা স্বাদ চায় রসনায়
মেঘে মেঘে লোকগান, বিদ্যুতে বিদ্যুতে চেরাজিভ
আমাদের আহ্লাদে উৎসব মেশে, তাণ্ডবের শিব
সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধ্বংস করেন সম্পর্ক প্রহেলিকা
আকাশ-পাতালজুড়ে ভয়, হৃদয়ে বিষাদটিকা
ভয় এক বিমর্ষ সংকেতরেখা, শরীরে শরীরে
ফুটে ওঠে, যত উঠে দাঁড়াতে চেয়েছি, ধীরে ধীরে
অবশতা, আলগা হয়ে আসা মুঠি, বাহুবেড়, নেশা
ভালবাসা মৃতপ্রায় স্মৃতি, বাস্তব বিদ্রূপহ্রেষা
সূর্যঘোড়া লাগামবিহীন পথে সান্ধ্য সুর তোলে
কী হবে শরীর যদি হাওয়ায় কেশর নাহি ফোলে?
খুব ভাল লাগল। কবিতা সব গুলিই দুর্দান্ত।