বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

জানুয়ারি ২০২১

কুসুমের মধু পর্ব ১২

তিনি এখন অনেক দিন কলকাতায় চাকরির জন্য আছেন। বেশিরভাগ দিন মহড়ায় যান। থিয়েটারপাড়ায় ঘোরেন। আর দূর থেকে দেখেন বঙ্গদেশে রাজনীতিতে কী এক জোয়ার লেগেছে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ২০

বাংলোর দিকে এগোতে এগোতে আমি চিকনকে বললাম, আমার বাবার কথা মনে পড়লে আমি প্রচণ্ড বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়ি। চোখের সামনে একজন মানুষকে এমন সংগ্রাম করতে দেখে সত্যিই গর্বিত বোধ করি।

রেশমপথের কাব্য পর্ব ৪

বিশাল জায়গায় অজস্র অলিগলি জুড়ে স্যান্ডস্টোনের অসাধারণ ভাস্কর্য। লাল, হলুদ, কমলা, গোলাপি এমনকি কোথাও কোথাও হালকা নীল বা সবুজের বাহার-ই-বাহার! ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবাই নিজের মতো করে মজে গেলাম রূপকথার জগতে।

নদী, গাছ, পাখি ও দুটো জ্বলন্ত চিতা

সুন্দরী নদীটার চোখ থেকে এখন ঝরঝর করে জল ঝরতে লাগল। ছাতিম গাছটাও ঝরঝর করে পাতা ঝরাল। শ্বাস ফেলল। লম্বা লম্বা শ্বাস। একলা পাখিটা দুটো ডানা মেলে উড়ে এল।

দীপান্বিতা সরকারের দুটি কবিতা

প্রার্থনা কোন দূর পাহাড়ে খাদের ধারে বসিয়েছি মঙ্গলঘট। তারাদের গয়নাগাটিতে আলো আলো জল। পালিয়ে আসা প্রেম অন্ধকারের ভেতর সেই আলোজল খেতে আসে। পাপ নেই এই পুজোতে। শোনো হে কাফের, সমর্পণে আজও তেমন কোনও পাপ নেই যে দেবীর ঘট উলটে দেবে তুমি! ভালবাসা সেই…

বুড়ো মরেও ছুটিয়ে মারল

ভেঁড়েবুড়ো মোড়লের হাতটা ধরল। ফিসফিস করে বলল, সারাজীবন তুমাদিগে জ্বালিয়ে মেরেছি। মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়েছি। পাপ করেছি। পাপ। পাপের পেরাছিত্তি করতে একটা সুযোগ দাও।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ১৯

আশ্বিনের ভোরে, বিচিত্র গন্ধময় প্রকৃতির মধ্যে মালভূমির ওপরে বসে কুয়াশা ঢাকা সেই উপত্যকা ভারি সুন্দর দেখাত। ওপর থেকে নীলগাইদেরও দেখা যেত। কোনও কোনওদিন সকালে বেরিয়ে আমি সেই উপত্যকায় নেমে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতাম শেষ প্রান্তে।

রেশমপথের কাব্য পর্ব ৩

কিরঘিজ ভাষায় ইসক কুল-এর মানে ‘উষ্ণ সরোবর। তবে শরীরে উষ্ণতা থাকলে কী হবে, মনে কোনও উষ্ণতা নেই। শুধু নিতেই জানে, দিতে জানে না কিছুই।

কুসুমের মধু পর্ব ১১

বাড়ি ফিরতেই একটা যেন অন্য গন্ধ টের পেলেন দ্বিজেন্দ্র। কেমন যেন মনখারাপ মনখারাপ গন্ধ। সুরবালা কোনও কথা না বলে ভেতরে ঢুকে গেল। দ্বিজেন্দ্র কিছু বুঝতে পারলেন না।

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ১২

বুর্জোয়া সমাজবিপ্লব যেহেতু আমাদের এই শস্যশ্যামলা দেশে এখনও অনেক দূরে রয়ে গেছে, তাই বাংলা সিনেমার ভিলেনরা এখনও আমাদের কাছে আমুদে, বড়জোর লোকনাট্যের বিদূষক।