বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

ফেব্রুয়ারি ২০২১

নস্ হয়্যা গেল্

বেজি যেমন দাঁড়াশের নড়াচড়া লক্ষ করে, ধীরেন নিঃশব্দ দ্রততায় নজর করে, একটা লজ্‌ঝড়ে ট্রাক ধীরে পার হয় জায়গাটা। লালের ওপর ধূসর ছায়া পড়ে, একটা লাল-কালো বিশাল ডানার পাখি সাৎ করে ছিটকে উল্টে যায়।

সুকৃতি সিকদারের দুটি কবিতা

নোটিশ তোমাকে ভাবতে থাকা সেই বুক দোমড়ানো মোচড়ানো দিনগুলো খুব ভাল ছিল মনে হয় অসময়ে দাঁড়িয়ে এখন। ছলনা ছিল না কোনও দাগের ওপরে। দাগের ওপরে দাগ ছিল তুমি ছিলে দাগের আড়াল। সময় আসলে সেই চরম সাবান সব দাগ ধুয়ে দেয়, তবু ক্ষত মোছে…

কুসুমের মধু পর্ব ১৬

দ্বিজেন্দ্র হারমোনিয়াম টেনে নিলেন। মাথার মধ্যে একটা গান ঘুরছে। ‘মেবার পতন’ বলে একটা নতুন লেখা ধরেছেন তিনি। সেই নাটকে এই গানটি থাকবে। ‘মেবার পতন’ নাটকটি রাজপুত কাহিনি হলেও এর ভাবনা অন্যরকম।

রেশমপথের কাব্য পর্ব ৮

এতবড় উদাহরণ আগে কখনও দেখেছি? না জীবনে আর দেখতে পাব? এরকম আড়াই ফুট চওড়া মাটির বিছানায় দিনের পর দিন শুয়ে ভারতে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন বাবর!

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ২৪

একটা বড় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বাংলোর দিক থেকে আমাদের দিকে আসছে রাস্তা ধরে। বেশ বড় বাঘ। তার চোখে হেডলাইটের আলো পড়তেই আগুনের গোলার মতো লাল চোখদুটি জ্বলে উঠল। চিকন ভয় পেয়ে আমার দিকে সরে এসে আমার হাত চেপে ধরল।

কুসুমের মধু পর্ব ১৫

যার মা থাকে না তার মতো দুঃখী কেউ হয় না। তিনি কি আর সুরবালার মতো ওদের চোখে চোখে রাখতে পারেন! নিজেকেই ধিক্কার দিলেন দ্বিজেন্দ্র। মায়াকে কিছুক্ষণ তিনি বুকে জড়িয়ে থাকলেন। তাঁর চোখ জলে ভরে উঠল।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ২৩

বাইরে আকাশে চাঁদটা আরও উজ্জ্বল হচ্ছে। গাছগাছালি সব রুপোঝুরি হয়ে গেছে। চাঁদের আলো গলে গলে পড়ছে পাহাড়ে, মাঠে, প্রান্তরে, উপত্যকায়। আমি চিকনকে বললাম, একটা গান শোনাও।

রেশমপথের কাব্য পর্ব ৭

আমাদের আজকের গন্তব্য ওস-এর কিছু আগে সীমান্ত শহর জালাল-আবাদ পর্যন্ত গিয়ে এই নদী ঢুকে যাবে উজবেকিস্তানের ফারগানা উপত্যকায়, মোগল সম্রাট বাবরের জন্মস্থানে।

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ১৪

দীনেশচন্দ্র সেন আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসের নুড়িপাথর জাতীয় উপকরণ সংগ্রহ করেছিলেন তপস্বীর শ্রমে। ইংরেজিতে যাকে বলে এম্পেরিকাল রিসার্চ, সেই পথের প্রথম পথিক তিনি।

পেডিগ্রি

পাহাড়ের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো লোমওলা কুকুর! নো ব্রিড, নো পেডিগ্রি! মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে মন্দ্রিতার। এর চাইতে রাস্তা থেকে কুকুরের বাচ্চা নিয়ে আসতে পারত রিকি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জব্বর একটা পোস্ট তো দেওয়া যেত।