বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

মার্চ ২০২১

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ২৮

একদিন আমি দেখি, সন্ধের পরে আধো অন্ধকারে আমার সেই মাসিমা আর ছোটকাকু বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে আছেন, কী কথা বলছেন। আমি দেখে নেমে আসি। বাড়ি ফিরে গল্পে গল্পে মাকে সেকথা বলেছিলাম। তার পরে কী হল জানি না।

নিভে যাওয়া তারা

কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে পাঁচজন। লেক মার্কেটের পাশে চায়ের দোকানে শনিবার শনিবারে দেখা হয়। বিকেল ফুরিয়ে যাওয়ার আগে। আজ অরিন্দম আগে এসেছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে জয়ন্ত। বাকিরা হাজিরা দেবে এক্ষুনি।

কুসুমের মধু পর্ব ২০

দ্বিজেন্দ্র জানলা দিয়ে বাইরে উদাস চোখে তাকালেন। নরম রোদে পৃথিবী ভরে আছে। কী এক অবসাদ তাঁকে ঘিরে ধরে। নিজের লেখা কত যে গানের কলি মনে ভেসে ভেসে বেড়ায়। তাঁর এত কষ্টের কারণ তিনি যেন বুঝতে চান না।

স্বাগতা দাশগুপ্তের দুটি কবিতা

বিরহী শ্যামের গাথা 'কানু বিনা গীত নাই', কানুর সে-প্রাণে উঁকি দিতে চায় মন বিরহ-সন্ধানে। কত লোকে উঁকি দিল যুগ যুগ ধরে এ-মন নতুন করে কী বা খুঁজে মরে! কোন মণি-মুক্তো বুঝি ধুলোয় গড়ায় রাজা কৃষ্ণ মনে তার দুখী শ্যামরায়। রাধার বিরহ নয়, বিরহ…

রেশমপথের কাব্য পর্ব ১২

চারিদিকে ধু-ধু প্রান্তরের এখানে-সেখানে কিছু ঘরবাড়ি। দক্ষিণ দিকের শেষ সীমায় আলয় রেঞ্জ, অসীম উদাসীন বারো মাস। যদিও সারি তাস মানে হলুদ পাথর কিন্তু কোথাও তার অস্তিত্ব চোখে পড়ল না। হয়তো সব বরফে ঢেকে আছে বলে।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ২৭

হাঁসেদের সঙ্গে আমিও উড়তে লাগতাম। হাঁসেরা যখন হরিসভার পুকুরপাড়ে গিয়ে ঝপাং ঝপাং শব্দ করে সকালের রোদে জল ছিটিয়ে জলের মধ্যে পড়ত, আমিও তখন মাটিতে নেমে ব্রেক করে জলের ধারে দাঁড়িয়ে পড়তাম।

কুসুমের মধু পর্ব ১৯

দাদামশায় মাঝে মাঝে বাড়িতে আসেন। আজকেও সন্ধেবেলায় হইহই করে এলেন। বয়স হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মনের শক্তি কমেনি। দ্বিজেন্দ্র না থাকলে মন্টু ও মায়াকে দেখার দায়িত্ব তাঁর। এ বাড়ি এলে তিনি কখনও খালি হাতে আসেন না।

তর্পণ

পাশের ঘরের দরজাটা ভেজানো। রোজ এমনই থাকে। বাবার আবার চোখে আলো পড়লে ঘুম আসতে চায় না। বুবাইয়ের শুতে একটু রাতই হয়। তাই বাবা শুয়ে পড়লে দরজাটা ও নিজেই ভেজিয়ে দেয়। বাবার ঘুম এমনিতেই খুব পাতলা।

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ১৬

ঋত্বিক বহুদিন আগেই ‘কত অজানারে’ নিয়ে ছবি করার কথা ভেবেছিলেন। কাজ অনেক দূর এগিয়েওছিল। তারপর যা হয়, অসমাপ্ত থেকে গেল। সত্যজিৎ কিন্তু সত্তর দশকে মণিশংকরকে গ্রহণ করেছিলেন ‘সীমাবদ্ধ’ ও ‘জন অরণ্য’ এই দুটির ছবির চলচ্চিত্রায়নে।

প্রতিমা রায়বিশ্বাসের দুটি কবিতা

আগুন ফুল ওইখানে মন খানিকটা পাতার মত খাওয়া আছে, আর যে তরঙ্গে আলো এক রেখা, একবার জন্মালে মৃত্যু হয় না। শুধু ফিরে যাওয়া আছে তার। চলে যাওয়াও আছে। সহজ ভেদ্য নিকষ কালো আঁধারে। এ কারণে লিখে ফেলতে পারে ঝাঁকে ঝাঁকে কবি জ্বলন্ত ফুল। ও…