বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

জুন ২০২১

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ৪০

সামনের গয়া রোড দিয়ে মেয়েরা হলুদরঙা লালপেড়ে শাড়ি পরে থালিতে নৈবেদ্য সাজিয়ে হেঁটে আসছে সিঁদুর গ্রাম থেকে, যে গ্রামে আমাদের করমদের বাড়ি। শরতের নরম, স্নিগ্ধ, হলুদ আলো পৃথিবীকে আরও সুন্দরী করে তুলেছে।

এই মায়াপথ পর্ব ৮

স্বাগতা তার কে ছিল? যা ছিল তা নিতান্তই বয়সের আবেগ, যার শেষফল ছিল শুধু একটা শূন্য। কেন তাহলে ট্রেন থেকে নেমে উদভ্রান্ত মনে হাঁটতে হাঁটতে সে নদীর কাছে, জীবনের বিপুল তরঙ্গের কাছে একা থাকতে চাইছে?

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ১২

এ অভিজ্ঞতা অন্যরকম! যাঁরা অন্তত এক রাত তাঁবুতে না কাটিয়েছেন তাঁদের সে অনুভূতি বলে বোঝানো মুশকিল। সিকিমের এক নির্জন পাহাড়ে জীবনের প্রথম যে রাত টেন্টে কাটিয়েছিলাম, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে সে রাতে ঘুম হয়নি।

পোর্ট্রেট

কুমারেশ একটা শিস শুনতে পাচ্ছিলেন। বুঝতে পারলেন, দোয়েলের শিস। কোথাও বসে আছে পাখিটা, গান গাইছে। দেখা যাচ্ছে না। না যাক। ওই পাখিটাই আঁকবেন তিনি। হ্যাঁ, তাই হোক।

সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা

কাটিয়ে দেব তোমার চোখের নীচে ছড়িয়ে পড়ছে সাদা বালি দিন দিন কেন জানি, আরো ভিড়, তবু সব খালি সন্ধে নামলে যেমন ঘরে ফেরে পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আমিও চেয়েছি যেতে চেনা সেই পথে বারবার কেন যে চেয়েছ তবু মুখ ফুটে বলোনি আমাকে! থেমে যাওয়া নদীপথে দেখাটুকু…

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ২২

তিনি সারাজীবন উল্লেখ করে গেছেন লুইস বুনুয়েল ও তারকোভস্কির কথা, যাঁরা যুক্তির পরম্পরা ভেঙে অনিয়মের লাবণ্য গড়ে তোলেন সিনেমায়। বুদ্ধদেব তাঁদের পথ অনুসরণ করেই বঙ্গ সংস্কৃতিতে আখ্যান থেকে যুক্তি বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন।

কানা ময়ূরাক্ষী

আজও যখন চৈত্র সংক্রান্তির অপরাহ্নে পাটে বসেন পুরাতন বৎসরের সূর্যদেব, আমি স্পষ্ট দেখতে পাই সেই শিমুলপাড়ার শ্মশান। জ্যোৎস্না সুবাসে প্লাবিত চরাচরে একটি প্রাচীন অশ্বত্থ গাছের নীচে বসে রয়েছে কালাগ্নিরুদ্রের উপাসক মাধাই ডোম।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ৩৯

যেখানে নামলাম তার ডানদিকে একটা কবরখানা। খুঁটির মধ্যে একটা বোর্ড দিয়ে লেখা, ‘বনাদাগ’। গ্রামের নাম। আমরা রিকশাওয়ালাকে ছেড়ে দিয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে হাঁটতে লাগলাম। একদম নির্জন জায়গা। অনেক জঙ্গল, ঝোপঝাড়।

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ১১

গাছের পাতার ছায়ায় ডালে ডালে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট পাখিরা। কেউ গাছের বাকলের ভাঁজে লুকিয়ে থাকা পোকা খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে আবার কোনও পাখি ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত। আমাদের আগমনে তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।

এই মায়াপথ পর্ব ৭

দেবল হাত তুলে গাড়িকে কাছে আসতে বলল। উঠে পড়। যেতে যেতে কথা হবে। কত টোটো দেখছিস চারদিকে? ইস, আমাদের সময়ে যদি টোটো থাকত! আরও উদ্দাম লাইফ হত। সাইকেল করে কত আর ঘোরা যেত! থ্রিলিং লাগছে না?