বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

জুলাই ২০২১

এই মায়াপথ পর্ব ১২

বারকয়েক ওই রাস্তাতেই ঘুরল তারা। স্বাগতার চুলের সুগন্ধ টের পাচ্ছিল সে। নিবিড় রাত, দূরে গানের মঞ্চ, আকাশে খইফোটানো তারা, রূপকথার মতো সময় কেটে যাচ্ছে। স্বাগতা তার হাতে চাপ দিয়ে বলল, পরশু দেখা হবে।

ভক্ষক

এবড়োখেবড়ো ঠান্ডা মেঝের ওপর পড়েছিল আধমরা রতন। পা-দুটো আর সোজা করতে পারে না আজকাল। এতবার, এতরকমভাবে তাকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, আপত্তি জানানোর কোনও ভাষাই আর তার মনে নেই।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ৪৪

বিকেলের রোদ পড়ে এসেছে। সেই ফিকে হলুদ আলোয় কালো ডোরাকাটা বাঘকে দেখে আমার তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া। আর সেই বাচ্চাদুটো পেছনের সিটে বসে বাঘ! বাঘ! করে লাফাতে লাগল।

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ১৬

আকাশ ঢাকা পড়ছে সবুজের মিনারে। যুগ যুগ ধরে তারা যেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। আদ্যিকালের বৃক্ষদের কাণ্ডগুলো শ্যাওলা জড়ানো। বাদামি শরীর জুড়ে সবুজের চিত্রাঙ্কন। আবার শুষ্ক কাণ্ডে ছত্রাকের মনমোহিনী ভাস্কর্য।

এই মায়াপথ পর্ব ১১

প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে বসা বিতানের চোখ তখন সামনে ইউনিভার্সিটি গেস্টহাউসের দিকে, ট্রেনের কামরা পেরিয়ে গোলাপি আকাশ খুঁজে পেতে চাইছিল। ঠোঁট কাঁপছে তার, হাঁটুর দুলুনি থেমে গিয়েছে। স্বাগতা একাই আসছে।

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ৪৩

আমি বললাম, চলো। বলে আমার গাড়িতে ওকে নিয়ে গড়ের মাঠে গেলাম। ওই দিন গড়ের মাঠে কোথা থেকে একটা ষাঁড় এসে খুব উত্ত্যক্ত করেছিল আমাদের। তার পরে আমরা কফি খেতে গেলাম ম্যাগনোলিয়া।

অভিমন্যু ও দেবদারু

দেবদারু গাছের ফাঁকে ফাঁকে প্রেমিক-প্রেমিকারা হাতে হাত ধরে বসে থাকে। লকডাউনে আনাগোনা কম। তবু মাস্ক পরে হলেও প্রেম ও শরীর বজায় রাখায় কোনও বিশেষ ঘাটতি নেই।

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ২৪

উত্তমকুমার আমাদের সমাজে, গল্পগুজবে, কেশবিন্যাসে ও চালচলনে শুধু ‘স-জীবনী’ অভিনেতা নন, তিনি যে অতিকথা হয়ে রূপকথার রাজপুত্তুরের জন্ম দিলেন তা তাঁর অভিনয়প্রতিভার জন্যও নয়। বরং সেই মুহূর্তগুলির জন্য যা এই অভিনয়কে বাস্তব মনে করায়।

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ১৫

গ্রামের ওপাশে চোখের সমান্তরালে ওই যে কালচে-সবুজ পাহাড়টা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, ওটাই চন্দ্রশিলা শৃঙ্গ, আমাদের ফাইনাল ডেস্টিনি। যেখান থেকে হিমালয়ের তিনশো ষাট ডিগ্রি কোণে চারপাশের তুষারধবল শৃঙ্গ দেখা যায়।

এই মায়াপথ পর্ব ১০

ইউনিভার্সিটি চত্বরে প্রচুর আলোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সেই আলোয় উদ্ভাসিত থোকা থোকা বেগুনি জারুল ফুল, আবির-লাল কৃষ্ণচূড়া আর চিরহরিৎ রাধাচূড়া। স্বাগতা ঠোঁট কামড়ে হাঁটছে পাশে। বিতান বলার মতো কথা খুঁজে পাচ্ছিল না।