বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

আগস্ট ২০২১

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ৪৮

এই ছোট্ট জীবনে অল্প কিছু মানুষ, কাছের, ভাললাগার মানুষদের নিয়েই তো দিব্যি দিন কেটে গেল। পঁচাশিটা বছর কখন যে কাজ করতে করতে, খেলতে খেলতে, গান গাইতে গাইতে, বনেজঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে আমার প্রায় অনবধানেই কাটিয়ে এলাম!

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ২০

অস্তমান সূর্যের অতুলনীয় সৌন্দর্য উপেক্ষা করার সাধ্য কী কোনও মানবমনের আছে? রক্তিম সূর্যের প্রভা এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে আকাশের অনেক দূরে। চেনা পৃথিবীটাকে মনে হচ্ছে অনেক বেশি অচেনা। এক গভীর ভাললাগার আবেশে আবিষ্ট হয় মন।

এই মায়াপথ পর্ব ১৬

প্রিন্সেপ ঘাটে দুপুরে লোকজন কম। প্রেমিক-প্রেমিকারাই সংখ্যাই বেশি। কাঠের বেঞ্চে ঘনিষ্ঠভাবে বসে আছে। মাথার ওপরে ঘষা কাচের মতো স্বচ্ছ আকাশ, পুজোর গন্ধ চারদিকে, জল কেটে লঞ্চ এগিয়ে চলেছে।

জুনুক রাত

হাতিগুলো এখন হাবল শুঁড়ির মাঠে নেমে পড়েছে, আর কয়েক পা এগিয়ে গেলেই নিতায়ের চার বিঘে জমি। নিতাই নিজেকে সামলাতে পারে না। বাকি সবাই পিছিয়ে গেলেও সে একাই দু’হাতে দুটো হাত-হুলা নিয়ে হাতির দলের দিকে এগিয়ে যায়।

প্রদীপ করের দুটি কবিতা

সুর ছায়াপথ ধরে এসো, এসো স্মৃতিপথে তোমাকে গোপনে রাখি, শুশ্রূষায় ক্ষতে নিদাঘ শূন্যতা দেব ধূ ধূ অবসাদ হরিণের শিঙে বেঁধে পাঠাব বিষাদ অভ্যাসবশত মেঘে পাঠাই যে জল অশ্রু গহীনে নামো শান্ত অতল নেমেছ সমর্পণ? আত্মঅভিমান? শোকের অন্তর্ধ্যানে…

শেষবিকেলে সিমলিপালে পর্ব ৪৭

লোকটাক হ্রদের পাশের জঙ্গলে মিঠুন দেখতে পাওয়া যেত। বাইসনের মতো বড় নয়, তার চেয়ে ছোট একধরনের গোজাতীয় হরিণ হল এই মিঠুন। ছোট ছোট নাচুনে হরিণ বা ডান্সিং হরিণের জন্য মণিপুর বিখ্যাত।

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ২৬

ফ্রয়েডের কাছ থেকে ধার নিয়ে বলা যায়, তাঁর শরীর ও খসখসে কণ্ঠস্বর অনেক সময়ই কাস্ট্রেশন কমপ্লেক্সকে উসকে দেয়। সম্ভবত সুপ্রিয়া চৌধুরী আমার চোখে দেখা এমন একজন বিরল অভিনেত্রী যাঁর শরীরের প্রতিটি ভাঁজে মুদ্রিত ছিল শ্রম ও নিষ্ঠা।

এই মায়াপথ পর্ব ১৫

দু’মাসের জন্য গ্রীষ্মাবকাশ পড়ে গেল। বিতান স্বাগতার সঙ্গে দেখা করল না, স্বাগতাও দেখা করতে এল না। দু’মাসের ছুটি ঘরেই কাটাল সে। বন্ধুদের সঙ্গে সন্ধেয় গল্পগুজব আর পড়াশোনা করে সময় কেটে গেল।

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ১৯

কুকুরগুলোর গলা ঢাকা রয়েছে লোহার তৈরি চওড়া বেষ্টনীতে। মেষপালক বললেন, ওগুলো চিতাবাঘের আক্রমণ থেকে ওদের প্রাণ বাঁচানোর একটা পন্থা। তার অর্থ, এই পাহাড়ে চিতাবাঘ এখনও জীবিত আছে। মেষপালক ওপর-নীচে মাথা দোলান।

উত্তরণ

এখন শুধু নিজের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শুনে যেতে হয় অনির্বাণকে। এই হাঁ-হাঁ ফ্ল্যাটে প্রতিটি রাত যেন গিলে খেতে আসে ওকে। কত রাত নির্ঘুম কাটায় ও। কী এক অস্বস্তিতে কাঁটা হয়ে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে ভোরের সূর্যের আশায়।