বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

সেপ্টেম্বর ২০২১

এই মায়াপথ শেষ পর্ব

মায়ায় বেঁচে থাকে ঘরবাড়ি, জীবন আর সুখদুঃখের দিনরাত। স্বাগতাকে বুকের ভেতরে রেখে তাকে সোহিনীর কাছে ফিরতে হবে। স্বাগতা তাকে পুরনো দিনের ডায়েরি দিয়েছে আর সোহিনী দিয়েছে ঐশী। তার জীবনের অমূল্য উপহার।

গাড়োয়ালের গহীন পথে শেষ পর্ব

যেন তড়িৎ বয়ে যায় শিরদাঁড়ায়! ইনি কি উত্তরাখণ্ডের সেই বিখ্যাত পক্ষীবিদ! যাঁর পাখি-প্রেমের কাহিনি বহুশ্রুত। পাখির ছবি তোলেন অথচ এই নামটির সঙ্গে পরিচয় নেই, ভূ-ভারতে এমন বার্ড ফটোগ্রাফারের দেখা কমই মিলবে।

কিংশুক চট্টোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা

মানুষও কাঁদে না বড় গাছেরা নীরব তাই আমরা কথা বলি। মানুষও কাঁদে না বড় আর। যেদিকে তাকাবে শুধু, নিয়তির হাড়! সূর্যোদয় দেখাবে ফ্লাইওভার। ফেবু-তে চোখের জল তিস্তা ভেসে যাবে, গাছেরা গাছের মতো হত্যা হবে রোজ— গবাদি পূরীষে ঢেকে হারিয়েছে বোধ,…

শখ

যেন মনে হল, বট গাছটা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সেই নিশ্বাস যেন আমার সমস্ত অন্তঃকরণে জ্বালা ধরিয়ে দিল। আমার গর্ভের সন্তান পর্যন্ত যেন ছটফটিয়ে উঠল সেই নিশ্বাসের বিষে। আমি পিছিয়ে এলাম।

গাড়োয়ালের গহীন পথে পর্ব ২৩

রাস্তার পাশে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় দলবেঁধে গুটিকয়েক ঘোড়ার সমাবেশ। এই ঘোড়াগুলো নিচের গ্রাম চোপতা থেকে পুণ্যার্থীদের পিঠে করে নিয়ে এসেছে। ফিরতি পথের অপেক্ষায় তারা দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।

এই মায়াপথ পর্ব ১৯

স্বাগতা শেষ বারের মতো তার কাছে, কিছুদিন পরে চুল্লিতে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে তার শরীর। এই ছবিটাকে জোর করে মন থেকে সরাতেই সামনে ঝুঁকে পড়ল বিতান। কাছে টেনে গভীর আবেগে আর আশ্লেষে সে স্বাগতাকে পেতে চাইল।

প্রতিপ্রস্তাব পর্ব ২৮

‘কাল পরিণয়’-এর নায়ক ছিলেন বাঙালি ধীরাজ ভট্টাচার্য। যেহেতু নির্বাক ছবি, নায়িকা ঘোর ফিরিঙ্গি সীতাদেবী অর্থাৎ মিস রেনি স্মিথ। আর ওই দম্পতির জ্বরাক্রান্ত শিশুপুত্রের ভূমিকা নিয়েছিল জনৈকা উর্দুভাষী মুসলমান অভিনেত্রীর ছেলে।

ধুলোবালি

দাদু এখনও একইভাবে ধুলোবালি জড়ো করে চলেছে। বাঁ হাতটা চেপে ধরতে আমার দিকে ঘোলাটে দৃষ্টি ফেলল। আমের চারাটার দিকে আঙুল বাড়িয়ে ইশারায় বললাম, তোমার আম গাছে মুকুল এসেছে, দেখতে যাবে না কি?

তৈমুর খানের দুটি কবিতা

প্রসব রোজ মৃত্যু এসে শরীরে ঘুমায় আমি ওর পরিচর্যা করি কলঙ্ক রটে যায় ঘোর সহবাসে অন্ধকারে মৃত্যু ওঠে হেসে ওষুধ পথ্য জলের বোতল সবাই পাহারা দেয় উজ্জ্বল শয্যা ঘিরে বসে থাকে নির্ঘুম সংসার আমার নীরব ভাষা আর নীরব ভাষার সংকেতগুলি বাহু…

গৃহপালিত মানুষ

মানুষটা আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে। বড় বড় নখ হয়েছে। ফর্সা গা ভরে সাদা সাদা লোম। চাঁদের আলো চাদর বিছিয়েছে গোটা ছাদ জুড়ে। হামাগুড়ি দিয়ে সেই আলোয় হেঁটে বেড়াচ্ছে সে আর আমি তার কাঁধে চেপে ঘুরছি।