বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

ডিসেম্বর ২০২১

মিলন হবে কত দিনে

আঁখিতারা সারাদিন এ ঘর ও ঘর, সিঁড়ি দিয়ে দোতলা, বাইরের বাগান, পুকুরপাড় করে বেড়াত। মরিয়ম তাকে লেখাপড়া শেখাত। বর্ণপরিচয়, প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ। ধারাপাত। একে চন্দ্র, দুয়ে পক্ষ...।

পেরুস্কোপ

বরফের পাহাড় মানেই সেই পাহাড়ের কোথাও না কোথাও কর্নিশ তৈরি হতে পারে। বিশ্বের সব পর্বতমালাতেই এদের সম্ভ্রম আদায় করা উপস্থিতি। কিন্তু কর্ডিয়েরা ব্লাঙ্কার কর্নিশরা অন্য পর্যায়ের।

বাগান ও দেবদূত বিষয়ক

হালকা কুয়াশা। কয়েকটা মিটমিটে আলো জ্বলছে কাছে-দূরে। সন্ধে অস্তগামী। মা আর স্যাম কথা থামিয়ে চুপচাপ বসে আর বারান্দার হলুদ বাল্বের আলো ঘিরে পোকাদের দল ভিড় জমাচ্ছে।

তাপস বিশ্বাসের দুটি কবিতা

নির্জন নির্জন শুয়ে আছে হাত ছড়িয়ে, পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে স্টেশনের শূন্য প্ল্যাটফর্মের মতো। কোথাও কেউ নেই আর, যাত্রী ও হকার, শূন্য হাহাকার ভয়ের মতো জড়িয়ে আছে। কাক ও কুকুরের শৃঙ্খল ভেঙে গেছে উচ্ছিষ্ট কোথাও নেই, উচ্ছিষ্টের আকাল! মধ্যদুপুরের…

পেরুস্কোপ

এ পাহাড়ের একটা অংশও চোখে পড়ছে না যেখান দিয়ে সহজে উঠতে পারা যাবে! কোনও ইনভাইটিং ফিচারই নেই পাহাড়ের গায়ে। উয়ানসান যেন তার কাছে আসতে, তার গায়ে উঠতে বারণ করছে নিঃশব্দে।

প্রতিপ্রস্তাব

নিমাই ঘোষ পুরস্কার পাননি কিন্তু যা পেয়েছিলেন তা পুরস্কারের অধিক। পুদভকিন-এর মতো ধ্রুপদী পরিচালক সেদিন, স্তালিনের জীবদ্দশায়, রুশ সংবাদপত্র ‘প্রাভদা’-য় ‘ছিন্নমূল’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

মিলন হবে কত দিনে

মরণের পর যা থাকে তা হল অমাবস্যার রাতের আকাশ, তার সীমা-পরিসীমা নেই। তারারা আমার অক্ষর বিমল, রাতের আকাশে আমি লিখছি যা সব কোনও না কোনও বইয়ে পেয়ে যাবে। করুণ গলায় বলেছিল আঁখিতারা।

কোল্ড অ্যালার্জি

এই গরমেও দরজা-জানলা ক্লোজ করে এভরি দিন এরা অসভ্যতা করছে। সব বাড়িতে পদ্মকে ছাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কাজের লোক কোথাও কাজ করছে না। এনার কীসের ইন্টারেস্ট? বুড়ো ভাম।

আবু রাইহানের দুটি কবিতা

অলৌকিক ডানা যদিও জানি মৃত্যুতেই এ জীবনের চূড়ান্ত ক্ষয় অনিবার্য মৃত্যু, সে তো অমোঘ প্রয়োজন তবুও হিমশীতল আতঙ্কের মতো সারাক্ষণ চারপাশ জুড়ে এখন কেবল প্রবল মৃত্যুভয়! এখন মৌষনকাল— গোধূলি সন্ধ্যায় বিষন্ন চাঁদের আলো দেখি নির্জন রাত্রিকে…

সেকেলে গপ্পো

বাঙালির কেজো কর্মজীবনের চত্বর থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছে টাইপরাইটার। তা বলে রেমিংটন, অলিভার, হার্টফোর্ড, ইম্পিরিয়াল, রয়্যাল, সালটার, সিমপ্লেক্স-এর স্মৃতি মুছে যায়নি পুরোপুরি।