বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

ফেব্রুয়ারি ২০২২

পেরুস্কোপ

পেরুর মানুষ নাকি আজও বিশ্বাস করেন একসময় এই টিলা থেকেই শুরু হত এক গুপ্ত সুড়ঙ্গপথ। ইনকা পূজারিরা নাকি এই সুড়ঙ্গপথে সুদূর কুজকোর কোরিচাঙ্কা মন্দিরে চলে যেতে পারতেন।

মিলন হবে কত দিনে

সে সাতক্ষীরে থেকে শেষরাতে বেরিয়ে কবির মৃত্যুসংবাদ পেয়ে অশ্রুপাত করেছিল নাকি শ্মশানে। একটু দূরে দাঁড়িয়ে। ভয় হচ্ছিল, মুসলমান তায় পাকিস্তানি, সমস্যা হবে না তো! কিন্তু হয়নি।

গোত্রহীন

অনিরুদ্ধ চ্যাটার্জিকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয় কীভাবে? কেন? আমাদের নামে ওরা যা খুশি বলে বলে আজ এই অবস্থা হল, আর ওদের জেতার অজুহাতে একটা অলমোস্ট খুনি ক্যাম্পাসে ঢুকে নাচবে!

নুশান জান্নাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

প্রবল অভিলাষ যদি আমার বয়স বাড়ে মন্থর হয় গতি যদি শেষ হয় জীবনের আঁটসাঁট অধ্যায়, তখন ধুলো ও মেঘের মতো যেন হই। অন্তস্তলে মুহূর্তে মুহূর্তে বিভাজনে যে তুমি জ্বলজ্বল করো আমার জীবনকাল, যদি একদিন আলো হয়ে বিলোপে— বিনাশে টুপ করে খসে…

প্রতিপ্রস্তাব

এলগিন রোডে তাঁর বাড়ির উল্টো দিকে থাকা দেশনায়ক সুভাষ তাঁকে ডাকনাম ‘বুড়ি’ দিয়েই চিনতেন। বীরেন্দ্রনাথ খানিকটা বাবার অমতেই হয়তো তখনকার স্বদেশিয়ানার ঝোঁকে সিনেমা ব্যবসায় মনঃসংযোগ করলেন।

মিলন হবে কত দিনে

সেদিন আঁখি মঞ্জিল, পুরনো হাভেলিতে অন্ধ রাতে তখন আঁখিতারা বলল, বিমল, তুমি যে ফোন করলে রহিমভাইয়ের বাড়ি যাবে, রহিমভাইকে জিজ্ঞেস করো, আমার কথা কি তার মনে পড়ে?

পেরুস্কোপ

হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছেছিলাম পুনোর প্লাজা (প্লায়া) দে আর্মাসে। দেখেছিলাম জোরদার কুচকাওয়াজ চলছে সেখানে। বুঝেছিলাম ২৮ জুলাই পেরুর স্বাধীনতা দিবসের মহড়া চলছে এখানেও, ঠিক আরেকিপার মতোই।

সেকেলে গপ্পো

বর্তমান দুনিয়ায় অ্যারোমেটিক থেরাপি তো চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম অঙ্গস্বরূপ। সেদিক থেকে পাতকোল হল দেশজ গন্ধ চিকিৎসায় একটা দেশজ প্রক্রিয়া। যা পরোক্ষভাবে হলেও পোয়াতির বমি ভাব কমানোয় সক্রিয় থাকত।

রূপসার পুত্রকন্যা

স্টেশনে একজন জাদুকর এসেছে বাবা। দারুণ সব ম্যাজিক দেখাচ্ছে। মানুষটা অবিকল তোমার মতো দেখতে। জাদু দেখব কী, জাদুকরকেই বার বার দেখছিলাম। তুমি কাল দেখো। দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ দিকটায় দাঁড়ায়।

রামকুমার আচার্যের দুটি কবিতা

১ দুঃখের সঙ্গে দুঃখের টক্কর লাগিয়ে বসে আছ তুমি সুখের দুয়ার তখন খোলে যখন দুই দুঃখে রক্ত ঝরে হেমন্তের বিকেলে দুই দুঃখী মোরগ লড়তে থাকে বোঝাপড়া সেরে যার কাছে বাঁচা আর জিতে যাওয়া মানে সুখ নয়, বরং নিশ্বাসের প্রহর গোনা আমার সঙ্গে…