বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

এপ্রিল ২০২২

মুখোমুখি

পৈতৃক জমিজমা, সম্পত্তি তখন অতীত, আর এপাশটা যেন একমাত্র ভবিষ্যৎ। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে বর্তমানটাকে বস্তায় ভরে এগিয়ে এসেছিল সমীরণদের গোটা পরিবার। নিজেরই দেশে তারা তখন পরবাসী।

শ্রীদর্শিনী চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

প্রকৃত দিন আহা! কি প্রকৃত দিন, সবুজের মধ্যে ব'সে ঝিম ধরে এসেছে কপালে, সন্ধ্যা'র মুখ চেয়ে তোমার গভীর ছায়া নেশা হ'তে চেয়ে, চেয়ে ফিরেছে উসুল - আমি ফের ঘরে ফিরে যাব ভেবে হারিয়ে রয়েছি। ওহ! কি প্রকৃত দিন, প্রতিটি জন্তুর মুখে খাদ্য আর জল…

মিলন হবে কত দিনে

সুচরিতার ভ্রূ কুঁচকে গেল। মেয়েটার ঝুলিতে যে কত আছে! বানায়, না সত্যি বলে, কে বুঝবে! কিন্তু শুনতে ভাল লাগে। মনে হয় বনে বনে রহস্যময়, অন্ধকার সুন্দরবনের বনবিবি তার ঘরে এসে সত্যিই বসে আছে।

সেকেলে গপ্পো

ছিপ ফেলে যাঁরা মাছ ধরেন তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে দেখা গেছে বঁড়শি দিয়ে দাঁত খোঁচাতে। এর পেছনে সক্রিয় এক লোকবিশ্বাস। বঁড়শি দিয়ে দাঁত খুঁচিয়ে সেই বঁড়শিতে টোপ পরালে তাতে ভাল মাছ ধরা পড়বে।

জগন্নাথদেব মণ্ডলের দুটি কবিতা

নীলচৈত্র দিন ফুরিয়ে এল পাটপাতা আর তিলবনে চৈত্রসন্ধ্যা এখন অর্ধেক নীলকাকিমা রেশমগাছে পুরোনো শাড়িতে ঘুমোতে গেছেজীবন তো সহজ! অস্বীকার করি ফুলের বিষ বুকের কাছে ঠান্ডা কুয়ো জাগিয়ে রাখা মাঝে মাঝে শ্বাস নিইরাতের আগে এখন সূর্যাস্ত-পাখির…

আগুনের রং

একসময় দপ করে আগুন ধরে যায় শুকনো ঘাসে। কার্তিক সেই আগুনে আরও কিছু শুকনো ঘাস দেয়। আগুনে এবার মাথাচাড়া দিল। বুড়ো হাঁপাচ্ছে। রতনের দিকে তাকিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসছে সে।

মিলন হবে কত দিনে

হেমন্ত আগরওয়াল বিপদে পড়লেন। তিনি ধর্ম বলতে জানেন পুরোহিত ডেকে নিদান নেওয়া। নিদান দেওয়া। সাধু-সন্ন্যিসী। গীতা, ভাগবতের নাম জানেন। রামায়ণ, মহাভারত জেনেছেন টিভির বয়ানে। তিনি এসব বলবেন কোথা থেকে?

স্বাগতা দাশগুপ্তের দুটি কবিতা

সমস্ত ভেঙে যাওয়াদের ১। ভাঙার বিষয়ে এবারে একটা বই লিখতে পারব আমি কত কত নিঁখুত-ভোঁতা মোচড়ে ভেঙেছে একের পর এক কখনো দুম করে হাত থেকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে ছিটকেছে এমন কোনটা কোথায় যে গেছে পরে আর খুঁজে পাইনি সব…

কবি গগন গাঙ্গুলি

সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনাটা ঘটাল একটা স্করপিও গাড়ি। গাড়ি থেকে নামলেন এক রূপসী মহিলা। তাঁরও হাতে ফুল। শুধু রূপ নিয়েই এলেন না। সঙ্গে দু’জন পুলিশ।