বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

জুন ২০২২

সায়ন্তন গোস্বামীর দুটি কবিতা

মেশিন শুধু বিলীন নয়, শুধু প্রেতাত্মা নয়, এই মেশিনের ভেতর আমি কোনরূপে তোমার বাষ্পটুকু পেলাম আজ সমাজকে দেখাব যতটা যা-নাম আদি অনাদি প্রণাম বাদবাকি ক্রিয়া সর্বনাম তাদের শেষটুকু নিয়ে যে কীভাবে কেউ মেঘ হয় এ'কথা মাথায় ঢুকছে না…

মিলন হবে কত দিনে

“পড়বে কে? সব মরে গেছে। অমর পাল, নির্মলেন্দু চৌধুরী, শচীন কর্তা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়...। যারা গান শুনত তারাও মরে গেছে। রেডিও উঠে গেছে। পল্লিগীতি, রম্যগীতি, অনুরোধের আসর, আকাশবাণী খাঁ-খাঁ। পড়ার আর শোনার কেউ নেই রে।”

পুরোটা পড়ুন

তার শাশুড়ি নকশিকাঁথা বুনত। ফোঁড় তুলে তুলে আঁকত মাছ, পাখি। সেই সুতো কোথা থেকে আসত জানো? তাঁতের শাড়ির পাড় থেকে তোলা হত সেই সুতো। চম্পাকলি তার শাশুড়ি-মা বিমলার কাঁধের কাছে মুখ নিয়ে বসে বসে তা শিখত। একদিন কী করি, কী করি ভাবতে ভাবতে চম্পা একটা…

অবন্তিকা পালের দুটি কবিতা

কথামালা এই তো পাতার কাছে লিপিবদ্ধ তোমার উচ্চারণ এই তো বইয়ের পাতা পরতে পরতে মেশে নির্বিকার অজেয় স্বভাবে এই তো হাসির ছলে চোখে পড়ে কণামাত্র জলও আগুন যেখানে পোড়ে, শিখার রুমাল পরিপাটি ছাই ঘেঁটে দেখে নেয় যৌনঘ্রাণ…

সেকেলে গপ্পো

পোড়ামাটির তুলসীমঞ্চের এই ধারণা নিভু নিভু করে এখনও টিকে আছে দুই মেদিনীপুর-সহ বীরভূম জেলায়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মৃৎশিল্পী তথা কারিগরের ব্যক্তিগত সৃজনশীলতার প্রকাশ ছিল এইসব তুলসীমঞ্চ। পাশাপাশি গ্রামীণ শিল্পকলা, লোকভাবনা, প্রত্নতত্ব ও…

কালো জলে রাঙা চিঠি

ওরা কিছুতেই বোঝে না, এটা কোনও অসুখই নয়। পাথরের গুঁড়োর সঙ্গে ছিল সিলিকার বিষ। নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকিয়ে নিয়েছি গাদা গাদা… অফুরন্ত। কলজেটা তার প্রতিশোধ নেবে না? হাওয়া থেকে আর পাক, পবিত্র অক্সিজেন টানতে পারছি না। কোন ওষুধ বাঁচাবে আমাদের?

মিলন হবে কত দিনে

ভ্যান গগ কে? রিজিয়াকে একটা বই এনে দিয়েছিল শতাব্দ। বাংলায় অনুবাদ— লাস্ট ফর লাইফ। জীবনতৃষ্ণা। পড়ে চোখে জল এসেছিল রিজিয়ার। দুঃখ, ক্লান্তি সব যেন আতিকুরের মতো। না, অতটা না। হতেই পারে না।

কস্তুরী সেনের দুটি কবিতা

ভ্রমণ পাহাড় এসেছে কাছে কী আশ্চর্য এত ভোর ভোর এসে পড়ল হাত ধরে পাঠে যাওয়া ভুটিয়া বালক হাত ধরে থাকাটুকু শেখা পথের প্রত্যেক বাঁকে বাঁকে তোমার দ্বিতীয় নারীর নামে নাম ফুটে উঠছে যেই বুনোফুল তাকে কি ফিরিয়ে দেওয়া…

সালিমা আন্টির ভাই

স্লিপার ক্লাসের জানলার ধারে সালিমা বসে আছে। আমাদের দেখে পিন্টু নেমে এল। আবার আমার ছেলেকে সালিমা ভ্রু কুঁচকে, ঠোঁট বেঁকিয়ে দেখতে লাগল। দেখতে দেখতে তার চোখ বড় আর লাল হয়ে গেল। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, খুব স্ট্রেস হচ্ছে।

মিলন হবে কত দিনে

মাধব মূর্তি  ঝপ  করে  ফেলে  দিল  জলে। তার পর  ছুটতে লাগল। তার  ভয় হচ্ছিল,  কেউ দেখে  ফেলল   কিনা।   তার  মনে  হচ্ছিল,  পেছনে কেউ আসছে  কিনা।  ঘুরে  দাঁড়িয়ে  সে  জোড়হাতে প্রণাম করল,   “মা,  আমারে ভাল  রেখো,  জ্বর  দিয়ো  না  ফেমিলি রে।”