বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা
Monthly Archives

জুলাই ২০২২

শর্বরী চৌধুরীর  দুটি কবিতা

আশ্রয়   গোধূলি-আলাপ চলতেই থাকে পাহাড় জুড়ে নতশির বালক জীবনের শিক্ষা নেয় শ্রমণের কাছে। গাছের বিবর্ণ পাতা ঝরে পড়ার আগে পাখির আশ্রয়। বালকটি পাখি হতে চায়। ক্ষমতা নেই উড়ান দেবার। মানুষ তাকে করে অমোঘ বর্শার আঘাত।…

মিলন হবে কত দিনে

সব উর্দুরা কি খানসেনা? রফি সাহেব, সংস অফ সামসাদ বেগম, তালাত মামুদ, মজরুহ সুলতানপুরী, আর দে পাকিস্তানি মিলিটারি লাইক? স্যার, দিলীপকুমার, সায়রা বানু, রাইটার প্রেমচাঁদ, মান্টো, ভীষম সাহনি— সব কি মিলিটারির মতো খারাপ…

দীপ্তিশিখা দাসের দুটি কবিতা

খাঁচার মতো মশারিটা খাঁচার মতো দুলছে মশারিটা হাওয়ায়। না, ঘটা করে লিখবো না জ্বলে ওঠা গল্পদের কোনো কথা । বর্গীদের লুট শেষ হল! ঘর খালি। হাতও শূন্য। ক্ষতবিক্ষত দাগগুলি আজ তবুও একার না— সেজে ওঠে কত…

বৃহস্পতিবার অথবা পুনর্বাসনের পাটিগণিত

এখানে আগামীকাল সকালের উদ্বেগ আর চিরকালীন সংশয়ের মাঝে শুধু আছে প্রতিশ্রুতির আলেয়া। ওদের শরীরের প্রতিটি ভাঁজে নদী থাকে। ঘোলা জল আর পাড় কাটার পহল। ঝুপ ঝুপ করে ভেঙে পড়ে মাটি, তলিয়ে যায় ফসল আর ফসলের গন্ধ। ভেঙে পড়ে বিশ্বাস।

খাজা কাঁঠাল

তাঁকে অন্ধকারে রেখে সানু এসব করেছে শুনেও রাগ করতে পারলেন না অঘোরবাবু। বরং যে শিকড় একদা তিনি উপড়ে ফেলেছিলেন সেই শিকড় আবার ছেলের হাতে প্রোথিত হচ্ছে দেখে খুশিই হলেন। মনে মনে একটু আবেগপ্রবণও হয়ে উঠলেন।

সেকেলে গপ্পো 

একসময় যা ছিল গাঁ-গঞ্জ, মফসস্‌ল এলাকায় চাষের জন্য অপরিহার্য, আজ তা শুধু উপেক্ষিতই নয়, মানুষের অপরিণামদর্শিতায় রীতিমতো ব্রাত্য। রুটিরুজির নামে লোভের বলি নয়ানজুলি।

মিলন হবে কত দিনে

“ফিফটি টুতে আব্বা গেলেন, নতুন দেশে চাকরি হবে ভাল। আব্বা গিয়েই রেলে চাকরি পেয়ে গেলেন। টিকেট চেকার, কমলাপুর স্টেশনে পোস্টিং। তখন আমি সিক্স ইয়ারস ওল্ড। সেভেন্টি ওয়ানে কুলসুমকে নিয়া পলাই আসছি। আমি কিছুই গোপন রাখতে…

মিলন হবে কত দিনে

বনদেবী বলল, “সব থাকে। থাকে। গানের রিকড কেমন দেখিনি, তা নষ্ট করে দিলেই সব ফুরাই যাবে? যাবে না। বন কেটে দিলেই কি বন যায়? যায় না, লুকোয় থাকে, অন্ধকারে ফিরে আসে, তার পর ফের শিকড় চারিয়ে দেয়।”

দীপংকর রায়ের দুটি কবিতা

না ভাললাগার দেশে চলে যাচ্ছি আস্তে আস্তে না ভাললাগার দেশে চলে যাচ্ছি আস্তে আস্তে সব প্রদক্ষিণ শেষে ঘুরে যাচ্ছি গতির বাইরে। এখানে আকাশ হারিয়ে গেছে আকাশের ওপারে তারও ওপারে চুপচাপ ছায়া জুড়ে…

আকাশছোঁয়া

আমাদের পাশের পাড়ায় থাকে মেয়েটি। মধুজার কাছেই শুনেছি সে রাতুলদের ওই ইনস্টিটিউটেই পড়ে। নিশ্চয়ই পড়াশোনাতেও ভালই হবে। একদিন রাস্তায় দেখা হয়েছিল মেয়েটির সঙ্গে। লজ্জায় মাথা নিচু করে চলে গিয়েছিল। তার মানে ও আমাকে চিনত। রাতুলই হয়তো ছবি দেখিয়ে…