নভেম্বর ২০২২

বিষয়টি আমাদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। এই বছর ‘সুখপাঠ’ পত্রিকার শারদ সংখ্যায় যে সমস্ত লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে কিছু লেখায় পাঠকদের প্রতিক্রিয়া আমরা পেয়েছি পত্রিকার পাতাতেই। তেমনই একটি প্রতিক্রিয়া…

 মায়াবৃক্ষ এ সংসার সাজিয়েছি আমার নিজস্ব হাতে এ সংসার মায়া শুধু মায়া? জানলার পর্দায় হলুদ-সবুজ ডোরা ছাদে ওড়া বাদামি পায়রারা— উঠোনে গুলঞ্চ লতা কুকুরের নাম শাহাজাদা, এসব সামান্য সুখে রয়েছি তো তুমি আমি বাঁধা। কে…

কতটা মায়া থাকলে এভাবে একটা ধ্বংসস্তূপকে ভালবাসতে পারে মানুষ? আমরা, শহরের মানুষরা তো শিখেছি কেবল ভাঙতে। পছন্দ না হলে ভুলে যেতে, চিড় ধরলে ফেলে দিতে। সব হারিয়ে, সব যন্ত্রণা পার করে নতুন করে ভালবাসতে শিখেছি কি?

ভদ্রলোক বিষম ডিসঅ্যাপয়েন্টেড হলেন। আমি জানি আপনি ইংরেজি পড়তে জানেন। কিন্তু পড়বেন কখন? বাস ছেড়ে চলে গেলে? ইংরেজিটা লেখা থাকে বাসের পিছনে। বাস ছেড়ে চলে গেলে তবেই দেখা যাবে।

তাঁহার মন কতকটা নিরাশ হইল, কিন্তু তিনি এই ভাবিয়া আশ্বস্ত হইলেন যে, কর্ত্তব্যকর্ম্ম অবিচলিত ভাবে সাধন করলে যে আত্মতৃপ্তি লাভ হয়, তাহাই তাঁহার প্রাপ্য এবং তাহা হইতে কেহ তাঁহাকে বঞ্চিত করিতে পারিবে না।

ক্রাইম আছে, হয়তো থ্রিলারও। কিন্তু শুধু তাই নয়। আর পাঁচটা ক্রাইম থ্রিলারের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এই উপন্যাসের বিষয় এবং উপস্থাপনা।

পুত্র ইরাবানের মুখের দিকে যখনই তিনি তাকিয়েছেন, দেখেছেন পিতার শৌর্য, বীরত্ব। আবার মায়ের ভালবাসাও ইরাবানের সুগঠিত দৃঢ় শরীরে এক কোমল মায়া বিস্তার করেছে। ইরাবানের মধ্যেই তিনি অর্জুন আর উলূপী দু’জনকেই দেখতে পান।

শহরের সমস্ত সুযোগসুবিধা বর্জিত এরকম একটা জায়গা, যেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্কও ঠিকমতো কাজ করে না, সেখানে সে করবে তার অহংকারের এই চাকরি!

ভূগর্ভস্থ সঞ্চয়ের ওপর এমন চাপ বাড়ছে যে তথ্য বলছে, মাথাপিছু বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে মিষ্টি জলের পরিমাণ ২০ শতাংশ করে কমছে। মাটির গভীরে যাওয়ার এবং জল উত্তোলনের যান্ত্রিক সুবিধা যত বেশি বাড়ছে তত বিপদের মুখে পড়ছে পানীয় জলের আধার।

হাসতে হাসতে ফেলে আসা সময়, নিজেদেরই প্রায় ভুলে যাওয়া কত কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে আছে বইটার পাতায় পাতায়।