মাধব মূর্তি ঝপ করে ফেলে দিল জলে। তার পর ছুটতে লাগল। তার ভয় হচ্ছিল, কেউ দেখে ফেলল কিনা। তার মনে হচ্ছিল, পেছনে কেউ আসছে কিনা। ঘুরে দাঁড়িয়ে সে জোড়হাতে প্রণাম করল, “মা, আমারে ভাল রেখো, জ্বর দিয়ো না ফেমিলি রে।”
অমর মিত্র
পর্ব ৩০
সুচরিতা চুপ। বনদেবীর কথা শুনতে শুনতে, স্বরক্ষেপনের অদ্ভুত ক্ষমতার কথা জানতে জানতে ভাবছিল, কে তার ঘরে তার সঙ্গে বাস করছে? বাঘের পিঠে চাপা বনে বনে ঘোরা বনবিবি? সে বলল, “তোর এত গুণ!”
“দিদি, আমি বাও-বাতাস চিনি, গন্ধ চিনি, আমি রোদ চিনি, ছাওয়া চিনি, মেঘ চিনি, বর্ষা চিনি, হিম চিনি, শীত চিনি, বসন্ত চিনি…, কী করে চিনলাম তা আমি জানি নে, মানুষ কি সব জানতে পারে?” বলল বনদেবী।
“আমি তো কিছুই চিনি নে রে।”
“তুমি যা চেন, তার নাগাল পাই নে আমরা, তাই এসব চিনে চিনে জেবন কাটাই।” বনদেবী বলল।
“কী করে জানলি রে? এ তো সবাই পারে না, কতরকমভাবে শিখতে হয় এ বিদ্যে।” সুচরিতা বলে, “আমি তো ভাবতেই পারছি না, তুই এই বিদ্যে জেনে লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করে বেড়াস!”
বনদেবী বলল, “বাবা গিয়েছিল বনে, আমি তখন ছোট। বাবার জন্যি মন কেমন করছিল দিদি। গাঙের ধারে গিয়ে বসে আছি বাঁশ দিয়ে বাঁধা ধরাট মতো জায়গায়, গাঙের বাও-বাতাস ছিল কেমন যেন, ভুলভুলাইয়া, পাক খেতে খেতে ভাটির দিকে যাচ্ছে। কী আমার মনে হল দিদি, জিজ্ঞেস করলাম এক বুড়ো মাঝিরে, ঠাকুদ্দা, বাও-বাতাস যায় কোথা?
I am logged in and still cannot access the entire novel. Please help
আপনার সমস্যার জন্য দুঃখিত। আপনি পত্রিকা খুলে দেখুন। এখন পড়তে পারবেন।