বা়ংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সাহিত্য পত্রিকা

পেরুস্কোপ

পেরুর মানুষ নাকি আজও বিশ্বাস করেন একসময় এই টিলা থেকেই শুরু হত এক গুপ্ত সুড়ঙ্গপথ। ইনকা পূজারিরা নাকি এই সুড়ঙ্গপথে সুদূর কুজকোর কোরিচাঙ্কা মন্দিরে চলে যেতে পারতেন।

পেরুস্কোপ

হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছেছিলাম পুনোর প্লাজা (প্লায়া) দে আর্মাসে। দেখেছিলাম জোরদার কুচকাওয়াজ চলছে সেখানে। বুঝেছিলাম ২৮ জুলাই পেরুর স্বাধীনতা দিবসের মহড়া চলছে এখানেও, ঠিক আরেকিপার মতোই।

পেরুস্কোপ

উরোসরা টিটিকাকার নলখাগড়া দিয়ে তাদের নিজস্ব দ্বীপ তৈরি করে। টিটিকাকার নলখাগড়ার নাম টোটোরা। তারা এই টোটোরা রিড শুকিয়ে, স্তরে স্তরে গোছা বেঁধে সাজিয়ে, অনেকটা ভেলার মতো করে এমন দ্বীপ তৈরি করে যার ওপর সেই টোটোরা দিয়েই কুঁড়েঘরও বানানো যায়।

পেরুস্কোপ

টিটিকাকার বুকে রয়েছে অনেকগুলো দ্বীপ। তাদের কোনওটা বলিভিয়ার, কোনওটা আবার পেরুর ভাগে পড়েছে। লোকেরা মজা করে বলে পেরুর ভাগ্যে টিটি আর বলির ভাগ্যে কাকা।

পেরুস্কোপ

একটা দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানি আমার ভেতরের সেই ক্লাইম্বার ভদ্রলোককে একেবারে ঝাঁকুনি দিয়ে জাগিয়ে দিল। ঠিক করলাম, আগ্নেয়গিরি তার ফায়ার ওয়ার্কস শুরু করার আগেই এল মিস্টি ক্লাইম্ব করে ফেলতে হবে।

পেরুস্কোপ

বাসস্ট্যান্ড থেকে গুগল ম্যাপ পথ দেখিয়ে পৌঁছে দিল যথাস্থানে। ডাউন টাউনের কাছটা দেখলাম দারুণ সুন্দর। সব বাড়িই প্রাচীন কলোনিয়াল স্থাপত্যে গড়া। গোটা এলাকাটাই একটা হেরিটেজ সাইট বলা যেতে পারে।

পেরুস্কোপ

আমাদের এই ক্লাইম্বটা ছিল রুরেকের ইস্ট ফেজ ধরে মোটামুটি সরাসরি একটা ক্লাইম্বিং লাইন। আর এই আনকমন রুটে ক্লাইম্বে রইল একজন ভারতীয়ের নাম।

পেরুস্কোপ

সাউথ সামিট পৌঁছনোর আগেই দাঁড়িয়ে রয়েছে তার সাব-সামিটের বিশাল বরফ মাশরুম। সেই মাশরুমের ওভারহেড বিপদ উপেক্ষা করে ক্লাইম্ব করাটা আমাদের সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল উন্মাদনার সমান।

পেরুস্কোপ

বরফের পাহাড় মানেই সেই পাহাড়ের কোথাও না কোথাও কর্নিশ তৈরি হতে পারে। বিশ্বের সব পর্বতমালাতেই এদের সম্ভ্রম আদায় করা উপস্থিতি। কিন্তু কর্ডিয়েরা ব্লাঙ্কার কর্নিশরা অন্য পর্যায়ের।

পেরুস্কোপ

এ পাহাড়ের একটা অংশও চোখে পড়ছে না যেখান দিয়ে সহজে উঠতে পারা যাবে! কোনও ইনভাইটিং ফিচারই নেই পাহাড়ের গায়ে। উয়ানসান যেন তার কাছে আসতে, তার গায়ে উঠতে বারণ করছে নিঃশব্দে।