জিনের বিভিন্ন কোড রয়েছে। জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের বিন্যাস বের করলে এই কোডগুলো পড়া যায়। এতদিন প্রায় আট শতাংশ জিনোম কোডের কোনও তথ্য ছিল না বিজ্ঞানীদের কাছে। এই জিনের কোডগুলো প্রচ্ছন্ন রয়েছে নাকি প্রকট বা ডমিন্যান্ট তা বোঝা যায়নি।
চৈতালী চক্রবর্তী
আমার ইচ্ছা হয় সর্ব শক্তিশালী হতে। আমার ইচ্ছা হয় নীরোগ শরীর নিয়ে দীর্ঘায়ু হতে। আমার ইচ্ছামতো গুণগুলো নিয়ে জন্মাক আমার সন্তান।
ইচ্ছা হয়।
এই ইচ্ছাটুকুই সার।
হিন্দু পুরান ঘাঁটলে এই ইচ্ছাধারীদের বিবরণ অনেক পাওয়া যায়। ফটাফট তপস্যা করে মনের মতো বর পেয়ে নিজের সব ইচ্ছা পূরণ করতেন সেইসব অতিমানবেরা। ভীষ্ম পেয়েছিলেন ইচ্ছামৃত্যুর বর, অর্জুনের মতো ধনুর্ধর আর দুটো ছিল না। তবে এইসবই শাস্ত্র-পুরানের পাতায়। অতিমানব হয়ে ওঠার সেই ক্ষমতা বাস্তবের মানুষজনের কোথায়? তবে হ্যাঁ, ইচ্ছামতো নিজের শরীরের খামতিগুলোকে ঢেকেঢুকে একটা বিবর্তন নিয়ে আসার ক্ষমতা আধুনিক বিজ্ঞানের আছে। সেই জাদুমন্ত্র লুকিয়ে আছে মানব জিনে। জিনই হল সেই চাবিকাঠি যা বিবর্তনের ইতিহাস বদলে দিতে পারে। শুধু তার রহস্যটুকু ভেদ করতে হবে।