বুক চিরে ‘ভাল থাকার আলোকিত শিলালিপি’ দেখানোর স্পর্ধা রাখেন যে কবি তাঁর কাছে মহত্তর সততার প্রত্যাশা রাখা বোধহয় খুব একটা অসঙ্গত হবে না। কবি আমাদের হতাশ করেননি, বরং আরও নির্মম, রূঢ় সত্যের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছেন আমাদের।
দীপায়ন দত্ত রায়
কবি পার্সি বিশী শেলি লিখেছিলেন, কবিতা এমন এক আয়না যাতে জগতের যা কিছু কুৎসিত তা সুন্দর দেখায়। কবিতার সামর্থ্য সম্পর্কে শেলির এই মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতার পুনর্বিবেচনা করার সময় বোধহয় এসে গেছে। জাগতিক ‘কুৎসিত’ পরিস্থিতিকে ‘সুন্দর’ করে পরিবেশনার ক্ষমতা কাব্যদর্পণের থাকলেও কবিতা এমন ভ্রান্ত ধারণাকে প্রশ্রয় দেবে কেন?
কবি লুই গ্লুক নিউ ইয়র্ক টাইমসে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কবিতা নিয়ে তাঁর বিশ্বাসের কথা : “I firmly believe, the soul of poetry is ever-willing to accept the painstaking mortal condition our reality, our world is. Poetry is not there for offering consolation. It is there as long as crises are there in this world. Poetry is mankind’s most exalted response to this world, this universe, no matter how worsened the state it is in.’
অ্যাডোর্নো যতই বলুন “আউশভিৎসের পরে কবিতা লেখা এবং পড়া দুই-ই বর্বরতার সমান”, গ্লুকের মন্তব্য থেকে বুঝতে বা অনুমান করতে পারি কবিতার দায়িত্ব ঠিক কতখানি ব্যাপ্ত এবং তা কত মাত্রিক। যে পৃথিবীতে এত জরা, এত মৃত্যু, ব্যাধি, অশান্তি, ক্ষোভ, অপ্রাপ্তি, অসন্তোষ, এত মিথ্যে— সেই পৃথিবীতেই তো কবি ও তাঁর কবিতার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, কেননা “সত্য বলা ছাড়া কবিতার আর কোনো কাজ নেই” (শঙ্খ ঘোষ)।
Comments are closed.