স্লিপার ক্লাসের জানলার ধারে সালিমা বসে আছে। আমাদের দেখে পিন্টু নেমে এল। আবার আমার ছেলেকে সালিমা ভ্রু কুঁচকে, ঠোঁট বেঁকিয়ে দেখতে লাগল। দেখতে দেখতে তার চোখ বড় আর লাল হয়ে গেল। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, খুব স্ট্রেস হচ্ছে।
অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়
কাদেরকে বেশ অনেকদিন চিনি। ঢাকার একটা দৈনিকের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক। লেখার ব্যাপারে আলাপ হয়েছিল। আমার থেকে বেশ ছোট। দাদা বলে ডাকে।
গতকাল কাদেরের ফোন এল। সে ভেলোরে এসেছে। কাদের বছরে একবার চেন্নাই হয়ে ভেলোরে যায়। ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে। ছেলের মাথায় একটা ছোট্ট টিউমার ছিল। অপারেশনের পর ভাল আছে। বছরে একবার চেক আপ।
“আরে কাদেরভাই, আসার আগে ফোন কর না কেন। আমি তাহলে তোমার সঙ্গে স্টেশনে দেখা করতুম।”
“না দাদা, ডাক্তারের অ্যাপয়মেন্টের তাড়ায় বলা হয়নি। ফেরার পথে দেখা করছি। আপনার বাসায় আসব। জরুরি কথা আছে। হেল্প লাগবে।”
কাদের আহমেদের বেশ নাম আছে। বিদেশের কাগজে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে লেখা বেরোয়। কলকাতা-দিল্লি-করাচি-লন্ডন ঘোরে সাংবাদিক সম্মেলনে।
দু’দিনের মাথায় ছেলে-বউকে নিয়ে কাদের এল আমার চেন্নাইয়ের বাড়িতে। বাংলাদেশের খবর নিয়ে কথা হচ্ছিল। কাদের বলল, “আগে জরুরি কথাটা বলি। আমার চাচাতো ভাই পিন্টু, ভাল নাম জাভেদ আহমেদ, ওর মিসেসকে দেখাতে ভেলোরে আসবে। স্কিৎজোফ্রেনিক। প্রায় চার বছর। কমে-বাড়ে। কিন্তু কিছুদিন হল বেড়ে চলেছে। তাই দেখাতে নিয়ে আসছে। কুমিল্লায় থাকে। বড় শহরের চালচলন বেশি দেখেনি। দেশের বাইরে কখনও যায়নি। আপনার হেল্প লাগতে পারে।”