১৯৫০ সালের ২০ মে ‘নিউ ইয়র্কার’ পত্রিকায় এক অভিনব কার্টুন ছাপা হল। শিল্পী অ্যালান ডান। কার্টুনে কোনও ক্যাপশন নেই। ছবিতে শুধু দেখা যাচ্ছে, ভিনগ্রহের বেশ কয়েকজন অধিবাসী মার্কিন মুলুকের এক শহরের নোংরা ফেলার ড্রামগুলো তুলে নিচ্ছে।
অনিন্দ্য দে
সে পুরনো দিনের কথা। গ্রিক দেশের থিবাই শহরে এসে পৌঁছল এক বিশাল আকারের শিয়াল। থিবাইয়ের জনপদে দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করল সেই শিয়াল। কিন্তু কোনওভাবেই তাকে পাকড়াও করা যাচ্ছে না। কারণ দেবতাদের অভিপ্রায়েই সে অধরা। শিয়ালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণের অভিযোগ শুনে রাজা ক্রেয়ন ডেকে পাঠালেন তাঁর সেনাপতি অ্যামফিট্রিয়নকে। আদেশ দিলেন এই ধুরন্ধর শিয়ালের ভবলীলা সাঙ্গ করার উদ্যোগ নিতে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অ্যামফিট্রিয়ন সন্ধান পেলেন এক কুকুরের। দেবতার বরে বলীয়ান সেই কুকুর যাকেই তাড়া করে তাকেই ধরে ফেলে তার ইহজীবনের ইতি টেনে দিতে পারে। অ্যামফিট্রিয়ন ওই কুকুরকে লেলিয়ে দিলেন শিয়ালের পিছনে। বাঁধল এক নতুন প্রলয়। স্বর্গের দেবতারা নড়েচড়ে বসলেন। দেবতার বরে শিয়ালকে কেউ ধরতে পারে না, আবার দেবতার বরেই কুকুরও কাউকে ছাড়ে না। তাহলে কে জিতবে এই দ্বৈরথে? হতচকিত হয়ে পড়লেন দেবাদিদেব জিউস। এ এমন এক সমস্যা আদপে যার কোনও সমাধান নেই।
আকাশের দেবতা জিউস ওই শিয়াল আর কুকুর দু’জনকেই এক লহমায় পাথর বানিয়ে ফেললেন। তার পর তাদের চিরকালের জন্য গেঁথে দিলেন আকাশের বুকে। পাথর-কুকুরকে পাঠিয়ে দিলেন ক্যানিস মেজর নক্ষত্রমণ্ডলে আর পাথর হয়ে যাওয়া শিয়ালের জায়গা হল ক্যানিস মাইনর নক্ষত্রমণ্ডলে। জিউস তো না হয় দেবমহিমাবলে শিয়াল আর কুকুরকে চালান করে দিলেন আকাশে। কিন্তু মানুষ এইরকম সমস্যায় পড়লে কী করবে? সেরকম আরও একটা গল্প শোনা যাক।