দেবাশিস চন্দ
নাগরিক জলতরঙ্গ, মৌমাছিমৌতাত,
কড়িখেলা শেষে সন্ধ্যার বেসুর চুল্লি,
ক্ষতচিহ্ণ গায়ে পরিধি ক্রমশ ছোট হয়,
কথায় লাগাম পরানোর খেলা অহরহ,
নদী যে পথে গেছে সেই পথ স্বাভাবিক
স্রোতে ভেসে যাও, স্রোতের বিপরীতে
তাকিয়ো না— বলে গেল রাজার অনুচর,
সন্ধ্যাতারার আড়ালে, মানচিত্রে কালি
ছিটিয়ে অন্ধকারে কাটাকুটি খেলার ব্রত
নিয়েছে যারা তাদের হাস্যকর আয়োজনে
হেসে ওঠে পর্যটনময় অচেনা জীবনহরফ,
গোপন গাণ্ডিবের জলবিছুটি অপেক্ষায়।
ভূমিচিত্রে সব স্বপ্নেই এখন জঞ্জালের ছায়া,
লাল বেলুনের প্রলোভন, অর্থহীন প্রলাপ,
শব্দ তো আগুনের দোসর, ভয়ঙ্করের
মোহনবাঁশি, দূরের যাত্রীনিবাসে নির্বাসন,
ভাঙা ছাদে ছুটে যাওয়া আলেয়ার খোঁজ
আসলে একনায়কের তির্যক চৌকাঠ, ব্যর্থসৌধ,
ভাষাবিকার, নির্জন প্রাসাদের ক্লান্ত বলিরেখা,
রাত্রিকথার পাঁজড়ে গর্ত খোঁড়ে সময়ের দাঁত।