আমরা সব খেয়ে বসে আছি। জন্মের কবচকুণ্ডলকে বেচে দিয়েছি ঘরে অলক্ষ্মী লাগা গেরস্তের মতো। সহজাত প্রবৃত্তিগুলো হারিয়ে আজ বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি— প্রকৃতির সব শক্তির কাছে আমরা সমান অসহায়, অপ্রস্তুত। আমাদের নোটবুকে রাশি রাশি তথ্য লেখা আছে, শুধু লেখা নেই পাগলা ষাঁড়ে করলে তাড়া কেমন করে ঠেকাব তায়?
তৃষ্ণা বসাক
সব ভাষাতেই সৃষ্টিতত্ত্বের নিজস্ব গল্প আছে, আর তাদের মধ্যে একটা ভীষণ মিলও আছে। প্রায় সব গল্পেই আছে মহাসমুদ্র কিংবা জনপদ তোলপাড় করে ভাসানো আসন্ন জলপ্লাবনের কথা। যেমন অবন ঠাকুরের একটি গল্পে আছে জন্ম থেকে কেঁদে চলা একটি শিশু, যে আসলে তার জনগোষ্ঠীর মানুষজনকে সতর্ক করতে চেয়েছিল আসন্ন প্লাবনের বিষয়ে। অথবা কূল নাই সীমা নাই অথই দরিয়ার সেই পানি বেয়ে সৃষ্টিকে রক্ষা করার লড়াই। নোয়ার নৌকা, মনুর মাছ সবই চলে যায় সমুদ্র বেয়ে। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে ঈশ্বরের আত্মা জলের ওপর অবস্থিতি করিতেছিলেন। আরমেনিয়ান পুরাণে আছে লেভিয়াথান বলে এক মাছের কথা, সে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে তার নিজের লেজটাকে একবার কুট করে কামড়াতে। পারছে না। আর পারছে না বলেই ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে পৃথিবী। হিন্দু পুরাণের বিষ্ণু অনন্তশয্যায় আছেন, কিন্তু সে শয্যাটি ভাসছে পারাপারহীন জলরাশির ওপর। তাঁর দশটি অবতারের অন্যতম মীন। যজুর্বেদে তো একটি প্রার্থনাই আছে ‘পয়স্বতী প্রদিশ সন্তু মহ্যম’। অর্থাৎ দশদিক আমার জন্য জলময় হোক। জলে রেতঃপাত এবং তা থেকে মাছের গর্ভধারণ ঘুরে ঘুরে আসে পুরাণ কাহিনিতে। আমাদের মনে থাকতে পারে মহাভারতকার ব্যাসদেবের জন্ম-ইতিহাস। জলে ভাসা নৌকার ওপর মিলনে যে শিশুর জন্ম তার শরীরে কিন্তু রয়েছে জলজীবী ধীবর জাতির রক্ত। এইভাবে জল যেমন আমাদের পৃথিবীকে, তেমনই আমাদের আদি কথাকেও ধারণ করে আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে প্রতীকী কাহিনি বোধহয় সমুদ্রমন্থন, মন্থন শেষে অমৃতের সঙ্গে বিষও উঠে আসে।
আধুনিক পরিবেশবাদী দৃষ্টিতে দেখলে সে পুরাণকাহিনি কবে যেন সত্য হয়ে গেছে। আমরা এই পৃথিবীকে, তার নদী, মাটি, অরণ্যকে নির্বিচারে মন্থন করে দু’হাত ভরে বিষ তুলে এনেছি।
পৃথিবী যেমন ক্রমে প্রাচীনা হয়ে আসছেন, তেমনই তাঁর সম্পদও ফুরিয়ে আসছে। ওজোন চাদরে ফুটো, চাঁদ ক্রমে ছোট হয়ে আসছে, সূর্যের তাপ কমছে, নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, নেমে যাচ্ছে জলস্তর। ১৯৬২ সালে সে সতর্কবার্তা তো দিয়েই রেখেছেন র্যাচেল কারসন তাঁর সাইলেন্ট স্প্রিং বইটিতে। পৃথিবীতে আসছে নীরব বসন্ত, যখন একটিও পাখি গাইবে না, ফুটবে না ফুল, গুনগুন করবে না ভ্রমর, কলস্বরে বইবে না নদী, বালি-মাফিয়ারা একটা আস্ত নদীই গায়েব করে দেবে। গড়ে উঠল ইকোলজির ধারণা, শুরু হল ইকোক্রিটিসিজম, ইকোফেমিনিজম, ইকোপোয়েট্রির মতো বিবিধ পাঠচর্চা বা জঁর।
নদীমাতৃক এ দেশে নদীকে নিয়ে লেখা কথাসাহিত্যের অভাব নেই। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ তো আছেই, আছে মলয়ালম উপন্যাস ‘অন দা ব্যাঙ্কস অব মায়াঝি’। কিন্তু নদীর ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি, বিশেষত বিজ্ঞান নিয়ে, তার সম্পদ, সংকট, সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক নন-ফিকশন তেমন নেই বললেই চলে। এই অভাব পূর্ণ করলেন সুপ্রতিম কর্মকার।
সারা পৃথিবীতে যত বড় বাঁধ নির্মাণ হয়েছিল তার ১৯ শতাংশই তৈরি হয়েছিল বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে। আর ১২-১৬ শতাংশ নির্মিত হয়েছিল খাদ্য উৎপাদন, পানীয় জল সরবরাহ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল কোনও বাঁধই দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজগুলো করে উঠতে পারছে না। দেখা গেল পৃথিবীতে প্রায় আট কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বড় বাঁধের জন্যে। প্রথম বিশ্বের দেশগুলো এটা যেদিন থেকে বুঝতে পেরেছে সেদিন থেকে তারা আর বড় বাঁধের দিকে যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও রমরমিয়ে বড় বাঁধ তৈরি করে মানুষকে ঘরহারা করার খেলা চলছেই।
আসলে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে, বড় প্রযুক্তি আমাদের যতটা দিয়েছে, তার বেশি কেড়ে নিয়েছে।
ফ্রান্সিস বেকন, যাঁকে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয়, তিনি অবাধ্য প্রকৃতিকে বাগে আনার জন্যে দরকার হলে কঠোর ও সহিংস পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। ফলে যথেচ্ছ গাছ কাটা, বাঁধ তৈরি, মাইন বিস্ফোরণ অবাধ হয়ে ওঠে। র্যাচেল কারসন প্রথম সেই বিপথগামী বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রকল্পের ভুল চোখে আঙুল দিয়ে দেখান। তিনি বললেন প্রকৃতিকে আমরা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারি, বশ করতে পারি— এই মানসিকতা বিজ্ঞানের প্রস্তর যুগের। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই মান্ধাতার আমলের বিজ্ঞানের হাতে আজ মারাত্মক মারণাস্ত্র। শুমাখার বলেছিলেন, “বৃহত্তর প্রযুক্তি মানেই অর্থনৈতিক ক্ষমতার বৃহত্তর সমাবেশ, যা সমাজ ও মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার জন্ম দেয়।”
তাহলে ঠিক কী দরকার এই মুহূর্তে? একদিকে দরকার ছোট ছোট প্রযুক্তি, অন্যদিকে দরকার দেশীয় প্রযুক্তিগুলোকে অবহেলার ধুলো ঝেড়ে পুনরুজ্জীবিত করা।
জল ধরে রাখার কত কৌশল ছিল আমাদের। নদীর আগে আসে পুকুর। সেই পুকুর কাটার প্রযুক্তি ছিল অত্যন্ত উন্নত। প্রকৌশলী বা ইঞ্জিনিয়ারদের রাজস্থানে বলা হত গজধর। এরা ঘুরে বেড়াত হাতে লাঠি নিয়ে। ভূমির মাপজোখ করে বলে দিতে পারত পুকুর তৈরি করতে হবে কোথায়। যেখানে পুকুর কাটা হবে সেই জায়গাটা হল ওই অঞ্চলের সবচেয়ে নিচু এলাকা। যা ‘শৎ’ বলে চিহ্নিত। পুকুরের চারপাশটি পরিষ্কার থাকবে। কারণ ওই পথে জল এসে মিশবে পুকুরে। আধুনিক বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই অংশটিকে বলে পুকুরের ক্যাচমেন্ট এরিয়া। রাজস্থানে এই অংশটি ‘আগোর’ নামে পরিচিত।
ছোটনাগপুর অঞ্চলে বড় পুকুরগুলোকে বাঁধ বলে। যেমন সাহেব বাঁধ, আশুর বাঁধ। এগুলো আসলে পুকুর। বাংলায় সাঁওতাল, কুর্মি, ভূমিজ ও হো জনগোষ্ঠীর মধ্যে পার্শ্ববর্তী দুটি পুকুরের বিয়ে দিতে দেখা যায়। এই অনুষ্ঠানকে বাঁধ বিহা বা বাঁধ বাপলা বলা হয়।
পশ্চিমের অন্ধ অনুকরণে বিশ্বায়িত হওয়ার ঝোঁকে আমরা আমাদের এই প্রথাগুলো, উৎসবগুলো তুচ্ছ করেছি। অথচ এই ব্রত ছড়া আচারগুলোর মধ্যেই আছে দেশীয় প্রযুক্তির ইশারা, যাকে এখন গালভরা কথায় টি কে বা ট্র্যাডিশনাল নলেজ বলে।
আমরা সব খেয়ে বসে আছি। জন্মের কবচকুণ্ডলকে বেচে দিয়েছি ঘরে অলক্ষ্মী লাগা গেরস্তের মতো। সহজাত প্রবৃত্তিগুলো হারিয়ে আজ বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি— প্রকৃতির সব শক্তির কাছে আমরা সমান অসহায়, অপ্রস্তুত। আমাদের নোটবুকে রাশি রাশি তথ্য লেখা আছে, শুধু লেখা নেই পাগলা ষাঁড়ে করলে তাড়া কেমন করে ঠেকাব তায়? আমাদের সন্তানের তূণীরে সমস্ত অস্ত্র সাজিয়ে তার বুকে বর্ম পরাতেই ভুলে গেছি আমরা। মাঝে মাঝেই প্রকৃতির চরম বিপর্যয়ে আমাদের দেউলিয়াপনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মনে পড়ে ‘চাঁদের পাহাড়’-এ শংকরের সেই ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা? তার তাঁবুর সামনে দিয়ে ছুটে যাচ্ছে বেবুন, হায়না, বুনো মোষ বিপদের গন্ধ পেয়ে। বহু বছরের ঘুম ভেঙে আগুন ছড়াচ্ছে সামনের পাহাড়টা, সভ্য মানুষের তৈরি ম্যাপে যার উল্লেখই ছিল না, ‘আগ্নেয়গিরি’ বলে । কিন্তু সে ইঙ্গিত ছিল পাহাড়ের নামের মধ্যে। ‘ওলডোনিও লেংগাই’। প্রাচীন জুলু ভাষায় যার মানে ‘অগ্নিদেবের শয্যা’। অরণ্যের প্রাচীন আদিবাসীদের কাছে অজ্ঞাত ছিল না পাহাড়ের আগ্নেয় প্রকৃতি, সভ্যতা যার খবর রাখেনি।
এরকম অনেক নিজস্ব কৌশল ছিল বৃষ্টির জল ধরে রাখার। যেমন দাং, যেমন জামপৈ। দাং দেখা যেত মূলত শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে। মাত্র তিন দশক আগেও দাং দেখা যেত। প্রধানত মৃত ঝোরাগুলোকে ব্যবহার করে দাংগুলো নির্মাণ করা হত। এগুলি মাটি ও পাথরের তৈরি সরু নালার মতো। বর্ষার সময়ে যখন মৃত ঝোরাগুলোতে জল আসত তখন ঝোরার জল যাতে সহজেই ভেতরে ঢুকতে পারে তার জন্য দাং-এর মুখগুলো চওড়া করা হত। এক-একটা ঝোরা অনেকগুলোকে দাংকে জল জোগাত। এর উল্টো ছিল জামপৈ। সারাবছর ধরে জল প্রবাহিত হয়, এমন বড় নদীর বুক জুড়ে পাথর-মাটি-বালি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হত। দেখতে অনেকটা উটের পিঠের কুঁজের মতো। এতে নদীর ভারসাম্যের কোনও ক্ষতি হত না।
এইসব দেশীয় প্রযুক্তির দুটি সুবিধে। এক, তা কোনওভাবেই প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করত না, দু্ই, তা নদীর তীরের জনজীবনকে নির্বাস করত না। আর এইসব কাজ জনপদের মানুষজনই করতেন নিজেদের শ্রম দিয়ে। ফলে নদী শুধুই এক বহমান জলধারা নয়, এক বহমান জীবনও— এই বোধ চারিয়ে যেত সমাজে, যা আদতে এক অবিচ্ছিন্ন মানবশৃঙ্খল তৈরি করে। অন্যদিকে বড় বিদেশি প্রযুক্তি এদেশের মানবজীবনকে বোঝে না, তা শুধু বিচ্ছিন্নতার জন্ম দেয়।
বাংলার নদীর ইতিহাস নির্মাণের যিনি পুরোধা পুরুষ, তিনি হলেন ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়। যিনি প্রথম বললেন বাংলার নদীগুলোর ইতিহাসই আসলে বাংলার ইতিহাস। বাঙালি ইতিহাসবিস্মৃত জাতি। সেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবার আগে বড় মমতায় বাংলার প্রাকৃতিক ধনসম্বল নদীগুলির ইতিহাস রচনার আন্তরিক চেষ্টা করেছেন সুপ্রতিম কর্মকার। নদীর দূষণ, জল রাজনীতি, ভবিষ্যতের জল সংকট— কিছুই প্রায় বাদ যায়নি। বিষয় ধরে ধরে নদীর সাতকাহন তুলে এনেছেন তিনি। নদী মানে তো তীরের মানুষ, চরের মানুষও, তাদের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। নিবন্ধগুলি হয়তো দৈনিক সংবাদপত্রের জন্যে লেখা হওয়ায় খুব সংক্ষিপ্ত, আর একটু বিশদে ধরা যেত।
নদীর কথা কিন্তু নারীদের বাদ দিয়ে নয়। শুধু যে যমুনার জলে রাধার প্রেম মিশে গেছে তাই নয়, পরিবারের জল আনার কাজটি যুগের পর যুগ ধরে মেয়েরাই করেছে। মহারাষ্ট্রে শুধু জল আনার জন্যেই বিয়ে করা হয় খরাপ্রবণ গ্রামগুলিতে, তাদের বলা হয় পানিবাই। জল সংরক্ষণের প্রযুক্তিতেও মেয়েদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি এবং প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়। নদীকে বাঁচিয়ে তোলার জন্যে প্রযুক্তির গোপন কথা এক নারী থেকে আর এক নারীতে চলে এসেছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। তাকে কাজে লাগিয়েই বাঁচানো গেছিল রাজস্থানের একটি নদীকে। আলয়ার জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী আরভারি বেঁচেছিল মেয়েদের স্মৃতিতে ধরে রাখা যোহাদ-র কৌশল কাজে লাগিয়ে।
নদী, মাটি, অরণ্যের সঙ্গে নারীর সম্পর্ক নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি স্বতন্ত্র বিদ্যাচর্চার শাখা, যার নাম ইকোফেমিনিজম। ভারতের চিপকো আন্দোলন কিংবা নর্মদা বাঁচাও প্রকল্প, কেনিয়ার সবুজ বন্ধনী আন্দোলন, জার্মানিতে পারমাণবিক প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে কৃষক নারীর উত্থান—সব কিছুকেই একসুতোয় বেঁধে দিয়েছে ইকোফেমিনিজম। জুনেস্ত্রা কিং বলেছিলেন “আমাদের জন্যে একটি গুগলি শামুকের অস্তিত্বের প্রশ্ন কোনও জনগোষ্ঠীর তীব্র পানীয় জলের সংকটের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। … এই নষ্ট বৃহন্নলা সময়ে যখন কর্পোরেট যোদ্ধাদের দানব অর্থনীতি এবং সামরিক যোদ্ধাদের পারমাণবিক বিনাশন কর্মসূচি মা পৃথিবীকে ধবংস করছে তখন এই বিনাশকে নারীবাদী প্রসঙ্গ হিসেবে পর্যবেক্ষণ না করে আমরা পারি না। এই নাশ, এই ধ্বংস সেই একই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে উদ্ভূত, আধিপত্যের নানা প্রক্রিয়া ও রাষ্ট্রক্ষমতাকে পর্যন্ত ব্যবহার করে যা আমাদের শরীর ও আমাদের যৌনতার প্রতি আমাদেরই অধিকারকে অস্বীকার করে।” (উইমেন অ্যান্ড লাইফ অন আর্থ— আ কনফারেন্স অন ইকোফেমিনিজম ইন দা এইটিজ)
এই বিষয়ে দু-চার কথা সুপ্রতিমের মুখে শুনতে পারলে ভাল লাগত।
সভ্যতা, বড়, ভারী যন্ত্রনির্ভর সভ্যতা, ছোটার ঝোঁকে একবারও পিছনের দিকে তাকায়নি। আর তার বিষফলও দেখতে পেলাম আমরা। আমেরিকার একটি প্রবাদ আছে— ওনলি হোয়েন ইউ হ্যাভ ফেলড দা লাস্ট ট্রি, কট দা লাস্ট ফিশ অ্যান্ড পলিউটেড দ্য লাস্ট রিভার, উইল ইউ রিয়ালাইজ দ্যাট ইউ ক্যান নট ইট মানি।
আমরা কি এখনও বুঝব না?
নদীজীবীর নোটবুক
সুপ্রতিম কর্মকার
ধানসিড়ি প্রকাশন
দাম ২৫০ টাকা
বইটি পড়তেই হবে মনে হচ্ছে !! ভীষণ জরুরী এবং কৌতুহলোদ্দীপক !!